আজ-  ,


সময় শিরোনাম:
«» চা-বাগান শ্রমিকদের খাবার ও চিকিৎসার অভাব: মালিকপক্ষের মজুরি দিতে টালবাহানা «» মৌলভীবাজার মসজিদের কাজের পূর্ণ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি -জিল্লুর রহমান এমপি «» অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান টিআইবির «» নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতি
রোধ ও রেশনিং চালুর দাবি
«» টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন এর যৌথ উদ্যোগে  «» কমলগঞ্জে কালবৈশাখী তাণ্ডবে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত; খোলা আকাশের নিচে পরিবার «» কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসুচি ও প্রতিবাদ সভা «» ঢাকায় বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাব ১৬তম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন উদযাপন কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত «» কমলগঞ্জ নৃত্যাচার্য নীলেশ্বর মুখার্জী’র ১৩৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন «» কমলগঞ্জে মণিপুরি বর্ণমালায় পরীক্ষা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা

শমশেরনগর হাসপাতাল কমিটির সহ-সভাপতি মনোনীত হলেন ধলাইর ডাক পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ আনহার আলী

সালেহ আহমদ (স’লিপক):

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় সদ্য প্রতিষ্ঠিত শমসেরনগর হাসপাতালের সহ-সভাপতি হিসাবে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ভানুগাছ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সাপ্তাহিক ধলাইর ডাক পত্রিকার প্রধান সম্পাদক, কবি, সাংবাদিক মোহাম্মদ আনহার আলীকে মনোনীত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) হাসপাতাল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শিল্পী সেলিম চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান রঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সালামের অনুমোদন সাপেক্ষে হাসপাতালের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে এই নিয়োগ কাজ সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, মোহাম্মদ আনহার আলী আশির দশকের মধ্যভাগ থেকে লেখালেখি ও নানাবিধ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। নব্বইর দশকে কমলগঞ্জ উপজেলার সাড়া জাগানো প্রতিষ্ঠান প্রগতি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ এবং কম্পিউটার শিল্পী গোষ্ঠীর তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

কমলগঞ্জের প্রাচীনতম পত্রিকা ‘ধলাইর ডাক’ আনহার আলীর বড় ভাই ইউসুফ আলীর হাত দিয়ে ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত হয়। উপজেলার বরেণ্য শিক্ষক প্রয়াত নরেন্দ্র দত্ত ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কবি নওয়াব আহমেদের মত ব্যক্তিরা এই পত্রিকায় সম্পাদক হিসাবে কাজ করেন। বর্তমানে মোহাম্মদ আনহার আলী ‘ধলাইর ডাক’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। এছাড়া তিনি ‘ধলাইর ডাক ২৪ ডট কম ও ‘দৈনিক মৌলভীবাজার’ নামে দু’টি পোর্টাল (অনলাইন নিউজ পেপার) সম্পাদনা করেন।

১৯৮৯ সালে মোহাম্মদ আনহার আলীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তিন কাল’ প্রকাশিত হয়। ১৯৯২/৯৩ সালে কমলগঞ্জ থেকে কবি গবেষক সৈয়দ মাসুমের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘স্বচিন্তা’ সাহিত্য পত্রের তিনি নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন ।একজন সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও দায়িত্বশীল সমাজকর্মী হওয়ার পাশাপাশি মোহাম্মদ আনহার আলী একজন সফল ব্যবসায়ী। ভানুগাছ বাজারে তাঁর একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

মোহাম্মদ আনহার আলীর ভাতৃষ্পুত্র কানাডায় বসবাসরত ব্যারিস্টার ওয়াসিম আহমদ একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ও কমিউনিটি একটিভিস্ট। ভানুগাছ চৌমুহনী জামে মসজিদ ও চৌমুহনী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ছাড়াও মোহাম্মদ আনহার আলীর পরিবার কর্তৃক অত্যন্ত স্বল্প মূল্যে কমলগঞ্জ উপজেলার জনসাধারণকে এম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদান করা হয়। ভানুগাছ বাজার সহ কমলগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র তাঁদের পরিবার একটি দানশীল ও সংস্কৃতিমনা পরিবার হিসাবে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য ও সম্মানিত।